এই মসজিদ আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি না থাকায় এর নির্মাণকাল সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায় না। স্থাপত্য-বৈশিষ্ট্য লক্ষ করে এর নির্মাণকাল আনুমানিক সতের শতকের শেষে বা আঠার শতকের শুরুতে বলে ধারণা করা হয়। মসজিদটি আয়তাকার তিন গম্বুজ-বিশিষ্ট। বাইরে থেকে এর দৈর্ঘ্য ১৪.১৯ মিটার, প্রস্থ ৫.৯০ মিটার; ভেতর থেকে দৈর্ঘ্য ১৩.৩০ মিটার, প্রস্থ ৪.০০ মিটার। এর চারটি বহির্কোণে রয়েছে ৪টি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ, বুরুজের শীর্ষভাগ ক্ষুদ্রাকৃতির কিউপোলাবিশিষ্ট। মসজিদটি তিনটি গম্বুজ দ্বারা আবৃত, সামনে রয়েছে তিনটি চতুর্কেন্দ্রিক খিলানবিশিষ্ট প্রবেশপথ। মূল প্রবেশপথটি দু-পাশের খিলান থেকে উঁচু। এর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি আবতল মিহরাব, মূল মিহরাবটি দু-পাশের মিহরাব থেকে উঁচু। মসজিদটির গম্বুজগুলোর নীচের অংশ, পার্শ্ববুরুজের ক্ষুদ্র কিউপোলারের নীচের অংশ ও কার্নিশ পদ্মপাপড়ির মারলন নকশাখচিত। মূল প্রবেশপথ ও মিহরাবের উভয় পাশে রয়েছে একটি করে নিমগ্ন স্তম্ভ। মসজিদের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। বার বার সংস্কারের ফলে এর আদি বৈশিষ্ট্য অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস